টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- আপলোড সময় : ২১-০৬-২০২৫ ১১:১৩:১৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৬-২০২৫ ১১:৫৯:২২ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার :: টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে পর্যটকদের জন্য ১৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। শনিবার (২১ জুন) সকালে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এসব নির্দেশনার বিষয়টি জানানো হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার ১০টি মৌজা জুড়ে ছোট বড় ১০৯টি বিলের সমন্বয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১২ হাজার ৬৫৫.১৪ হেক্টর, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলভূমি। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ সংকটাপন্ন বিশেষ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে রামসার এলাকা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। সংকটাপন্ন এই হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বর্জনীয় নির্দেশনাসমূহ হচ্ছে- উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করা / শোনা যাবে না; হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না। মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না; পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো ধরনের বিঘœ ঘটানো যাবে না। ডিটারজেন্ট, শ্যা¤পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙা কিংবা বনজ স¤পদ সংগ্রহ নিষিদ্ধ করা যাবে না। কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না। মনুষ্যসৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না। এছাড়া করণীয় স¤পর্কে নির্দেশনা দেওয়া আছে। নির্দেশনাসমূহ হচ্ছে- জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে। ভ্রমণকালে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে বিরত থাকতে হবে। দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে হবে, ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে। স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ করা যাবে। ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, পর্যটকদের প্রতি এ নির্দেশনাগুলো লিফলেট আকারে প্রতিটি নৌকায় সাঁটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সুনামগঞ্জ সাহেব বাড়ির ঘাটে পর্যটকদের প্রতি এ নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগালো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে সাইনবোর্ড লাগানো হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ